ঐশীর মা-বাবা আমাদের ইয়াছমিনের মায়ের মত নয়তো?

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০১:১৫:১৮ রাত

আমার ছোট বোনের বাচ্চাকে দেখা শুনা করার জন্য ছোট্ট একটি কাজের মেয়ে প্রয়োজন হয়। আমার ফুফু আমাদের বাড়ীতে কুচকুচে ১০ বছরের কালো একটি মেয়ে নিয়ে আসে । তাকে দেখে কারো পছন্দ হয়নি। আমার ছোট বোনেরও হয়নি। তাই উক্ত কালো মেয়েটিকে আমাদের বাড়ীতে রেখে দিই। পরে আমার শ্বাশুড়ী ঘরে একা এবং সংসারে কোন মেয়ে্ না থাকায়, তাঁর হাতের কাজের ছোটখাঁট পরমায়েশের জন্য তাকে নিয়ে যায়। মেয়েটির নাম ইয়াছমিন। ইয়াছমিনের দু’বোন এক ভাই। ভাইটি সবার ছোট। ইয়াছমিনের বাবা অন্ধ। তার মা গ্রামে গ্রামে দান খয়রাত নিয়ে সংসার চালায়। অন্ধ মানুষ কাজ কম করেনি। ৩টি সন্তান জন্ম দিয়েছে। ইয়াছমিনের মার এতে অসন্তুষ্টু। অন্ধ স্বামীর কাছে গিয়ে অযাচিত তিন সন্তান। যে মা নাড়ী ছিঁড়ে সন্তান জন্ম দিয়েছে সে মা ছেলে মেয়েদেরকে সহ্য করতে পারছে না। কথায় কথায় তাদেরকে বেদম পিটানি। চড় থাপ্পড় গালিগালিজত নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ইয়াছমিনের ছোট ভাইয়ের বয়স দেড় বছর। দেড় বছরের শিশুকে ঘরে রেখে, তালা লাগিয়ে মা ভিক্ষা করতে চলে যায়,বিকেলে এসে বুকের দুধ দেয়। ছেলে মেয়েদের প্রতি মায়ের এমন অমানবিক অত্যাচার অন্ধ বাবার সহ্য হয় না। তাই ইয়াছমিনের বাবা তার মায়ের অগোচরে ইয়াছমিনকে আমাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। ইয়াছমিন আমাদের সব বাড়ী মিলে আজ দেড় বছর যাবত আছে। কোন দিন তার মায়ের কথা একবারের জন্যও মুখে আনেনি। ইয়াছমিন নির্লিপ্ত অমনযোগি। যে কোন কাজের প্রতি তার অনিহা। কিছু প্রশ্ন করলে বা জিজ্ঞেস করলে, কথা না বলে অহেতুক শুধু হাসে। কোন কাজ কাম না করলে, তার মায়ের নিকট পাঠিয়ে দিবে বললে, সুরসুরে কাজটি করে দেয়। ইয়াছমিনের মা ভীতি। মা বাঘও না ভাল্লুকও না, মা স্নেহ মায়া মমতার আদার। মায়ের কাছে সন্তানের সকল সমস্যার সমাধান, সকল কষ্টের ইতি। সেই মায়ের কথা বললে সন্তান জগন্য কাজও করতে প্রস্তুত। ভাবতে অবাক লাগে। আমার বিবেক হয়রান হয়, বিবেক কল্পনা করতেও অপ্রস্তুত। একোন ধরনের মা! কোন জগতের মা!! হয়ত বা মা মেয়ের চেহারাটিও ভুলে যাবে। কারন ইয়াছমিন ইটের দেয়ালের ভিতরে থেকে, ইলেক্ট্রিক ফ্যানের বাসাত খেয়ে খেয়ে কালো মেয়ে ভালো হয়েছে। একটু পরিস্কার একটু নাধুস হয়েছে।

.

.

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সেপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীকে হত্যা করছে তার ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলে পড়ুয়া ষোড়শী কন্যা ঐশী। সে তার বন্ধুদের সহায়তা প্রথমে চেতনা নাশক পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করছে। অভিযোগে বলা হয়েছে সে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে এবং নেশা করে । আমি হয়রান হই একজন ইন্সেপেক্টরের মেয়ে উচ্ছৃঙ্খল হবে কেন, মাদকাসক্তই বা হবে কেন। তাও আবার ১৬ বছরের টিনএজার মেয়ে। কি অভাব ছিল তার। তার মা-পিতা আমাদের ইয়াছমিনের অশিক্ষিত ভিক্ষাকারীনি মায়ের মত নয় তো? ??????????????

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File